রোববার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়ে বলেন, আগামী ৯ মার্চ আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠতে পারে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ডেপুটি প্রসিকিউটর জেমস স্টুয়ার্ডের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আনিসুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটি উঠছে না, পরের সোমবার উঠতে পারে।
তবে এই আইন সংশোধনে দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি আইনমন্ত্রী।
আইসিটি আইন সংশোধন করে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিচারের সুযোগ রাখা হয়। তবে এই আইনে ব্যক্তির সাজা সুনির্দিষ্ট করা থাকলেও সংগঠনের শাস্তি কী হবে তার উল্লেখ নেই।
এখন সংগঠনের শাস্তি সুনির্দিষ্ট করে আইনটি সংশোধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আইনমন্ত্রী বলেন, জেমস স্টুয়ার্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আলেচনা হয়েছে। যাদের বিচার হচ্ছে একাত্তরে তারা কে কি করেছিলেন সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৭ মামলায় দণ্ডিত ১৮ জনের পাঁচ জনই পলাতক রয়েছেন।
এরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, আশরাফুজ্জামান খান, চৌধুরী মাঈনুদ্দিন, জাহিদ হোসেন খোকন এবং আব্দুল জব্বার।
দণ্ডপ্রাপ্ত এই পাঁচ আসামিকে শিগগির দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে বলেও জানান আনিসুল।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্টুয়ার্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার খুনিদের বড় বড় চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে সেই বিষয়ে আইসিসি ডেপুটি প্রসিকিউটরের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার, জেলহত্যার বিচার কীভাবে হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আনিসুল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফরে স্টুয়ার্ড আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে সুশীল সমাজের কাছে পরিচিত করবেন বলে জানিয়েছেন।