রোববার বিকালে নগরীর হালিশহর থানায় মামলাটি করেন র্যাব-৭ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) গোলাম রব্বানী।
র্যাব-৭ এর জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসপি সাহেদা সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
চার আসামি হলেন কক্সবাজারের পেকুয়ার ফয়জুল হক, রহিমা আক্তার, জাহেদুল আলম ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের আব্দুল হাই। এদের মধ্যে ফয়জুল ও রহিমা ভাই-বোন এবং জাহেদুল তাদের ভাগ্নে।
হালিশহর থানার ওসি শাহজাহন কবিরও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মামলা ও আসামি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার রাতে হালিশহর থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালায় র্যাব। সেখান থেকে দেড়শ কেজি বিস্ফোরক, ৭৬টি তাজা বোমা ও ২৪ রাউন্ড গুলিসহ নাশকতার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ভয়াবহ কোনো নাশকতার জন্য এত বিপুল বিস্ফোরক মজুদ করা হয়। এসব বিস্ফোরক দিয়ে প্রায় দুই হাজার বোমা বানানো সম্ভব।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী থানার আলীপুরে সুলতান আহমেদ সড়কের সফিনা ভবনের চতুর্থ তলায় আবু বকর মাদ্রাসা থেকে ‘ডিজিটাল জিহাদে’র প্রশিক্ষণে জড়িত ১২ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলার লটমণি পাহাড়ে পশুর খামারের আড়ালে জঙ্গি প্রশিক্ষণের আস্তানা থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বিভিন্ন অস্ত্রসহ।
এরই ধারাবাহিকতায় হালিশহর থেকে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের দাবি তিনটি ঘটনায় গ্রেপ্তার সবাই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য।