অভিজিৎহত্যা: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সংসদে

লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার মাধ্যমে মুক্তচিন্তার ওপর আঘাত করা হয়েছে বলে সংসদে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র সাংসদ তাহজীব আলম সিদ্দিকী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2015, 03:07 PM
Updated : 1 March 2015, 03:07 PM

তিনি অভিজিতের ওপর হামলার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও সমালোচনা করেন।

রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনের এই সাংসদ প্রশ্ন রাখেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিজিৎ রায় খুন হলেন?

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করেন তিনি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে সঙ্গে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন চত্বরের উল্টো পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎ রায়কে। হামলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বন্যার একটি আঙুল।

তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, “এই আঘাত ব্যক্তি অভিজিতের ওপর নয়; মুক্তচিন্তা, মুক্ত মতপ্রকাশ, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অধিকারের ওপর আঘাত, বিশ্ববিবেক এবং মনুষ্যত্বের ওপর আঘাত। এভাবে যদি উগ্রবাদীরা বিচারের ঊর্ধে উঠে যায় তাহলে তাদের এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে; আর আমাদের ভবিষ্যৎ তলিয়ে যাবে অন্ধকারে।”

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যে অবহেলা ও দায়িত্ব পালনে শৈথিল্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলের কাছেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। এর মধ্য দিয়েই কয়েকজন বিপথগামী উগ্র মৌলবাদী অভিজিৎকে খুন করল এবং রীতিমত উধাও হয়ে গেল তা ভাবতেও অবাক লাগে। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? ”

দেশের প্রগতিশীল এবং মুক্তচিন্তার মানুষকে ভুল বোঝাবুঝির ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমও অনির্ধারিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন।

এর আগে বিকালে ‍স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।