রোববার দুপুরে পাবনা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থদের মধ্যে ২৫ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তারা এখন শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এ ঘটনা তদন্তে পাবনা জেলা প্রশাসক তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন।
কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কেউ বলতে পারছেন না। তবে, যে শিক্ষার্থীর বোতল বিস্ফোরণ হয়েছে তাকে পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে।
পাবনা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুরে ২য় শিফটে নবম শ্রেণির গণিতের ক্লাস চলাকালে ক্লাসে উপস্থিত এক শিক্ষার্থীর পানির বোতল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
এ সময় শ্রেণিকক্ষে ‘বিষাক্ত গ্যাস’ ছড়িয়ে পড়লে শ্রেণিকক্ষে থাকা প্রায় ৪০ শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্ট এবং চোখজ্বলা শুরু হয়। কেউ কেউ বমিও করে।
পরে শিক্ষক ও অভিভাবকরা গুরুতর ২৫ শিক্ষার্থীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানান শিক্ষক মাহমুদুল।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল চত্বরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের মধ্যে কয়েকজনকে কাঁদতেও দেখা গেছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন অভিভাবক জানান, বিষাক্ত রাসায়নিকের বোতল বিস্ফোরণেই এমনটি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিবজিত নাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিষয়টি আসলে কী হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলার নেই এ মূহূর্তে।
পাবনা সদর থানার ওসি আহসানুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ ঘটনার পরপরই র্যাব পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।
তবে যে শিক্ষার্থীর কাছে ওই বোতল ছিল তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি আহসানুল।
পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আজমল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ ঘটনা তদন্তে তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জামা দেবে বলে জানান তিনি।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র দে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আক্রান্ত ছাত্রীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছে, বমিও করছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে তারা আশংকামুক্ত বলে জানান তিনি।