ভাবিকে ধর্ষণ-হত্যা, দেবরের ফাঁসির রায়

ভাবিকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দেবরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2015, 09:04 AM
Updated : 1 March 2015, 11:44 AM

রোববার ঢাকার পঞ্চম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজীনা ইসমাইল নয় বছর আগের এ মামলার ঘোষণা করেন।

হত্যার দায়ে মামলার মূল আসামি মো. আলমগীরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

তবে একটি ধারায় মৃত্যুদণ্ড হওয়ায় তার ক্ষেত্রে অন্য সাজা কার্যকর হবে না। 

মামলার অপর দুই আসামি আলমগীরের বন্ধু রিপন ও রাহিদ হাসান মিলনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিন আসামিই মামলার বিচার চলাকালে জামিনে ছিলেন। এদের মধ্যে আলমগীর ও রিপনকে রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর মিলন পলাতক রয়েছেন বলে ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আসগর স্বপন জানান।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, সৌদি আরব প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে ‘অশালীন প্রস্তাব’ দিয়ে আসছিলেন দেবর আলমগীর। শাহ আলমের ‘সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ারও’ চেষ্টায় ছিলেন তিনি।

২০০৬ সালের ১৪ জুলাই সেই গৃহবধূ ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে দোহারের জয়পাড়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে আলমগীর ও তার দুই বন্ধু। পরে তাকে একটি ইঞ্জিন নৌকায় তুলে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। পেট কেটে ও গলায় ইট বেঁধে লাশ ফেলে দেওয়া হয় ইছামতী নদীতে।

চারদিন পর ওই নারীর গলিত লাশ উদ্ধার হলে তার মা দোহার থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

আসামিদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি শুনে আদালত এ রায় ঘোষণা করে।