তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সহযোগী সংগঠনটির জেলা শাখার নেতারা।
আটক সুলতান সরকার (৩০) শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ওই ইউনিয়নের চাংপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।
শনিবার দুপুরে র্যাবের দায়ের করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর আগে শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান জানান, নাশকতার জন্য বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করা হচ্ছে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল সুলতানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। একই সময়ে তার বসতঘরে ঘাটের নিচ থেকে চারটি হাতবোমা উদ্ধার করে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১৪ এর জামালপুর কোম্পানির স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এ জেড এম তৈমুর রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুলতান আরও ৫/৬ জনকে নিয়ে শেরপুর শহরে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।”
শ্রীবরদী থানার এসআই বশির আহমেদ বাদল জানান, শুক্রবার ভোর রাতেই সুলতানকে শ্রীবরদী থানায় সোপর্দ করার পর র্যাব-১৪ এর ডিএডি আবুল কাশেম মিয়া মামলা করেন।
তবে শেরপুরের কারা হেফাজতে সুলতান সরকার ঘটনা সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কথিত ঘটনার সঙ্গে আমি আদৌ জড়িত না। ককটেলগুলো কোথা থেকে কীভাবে ঘরে এলো এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”
এবিষয়ে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা শাখার সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফী জুবেরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুলতান একজন বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সংগঠক। কোনো ধরনের নাশকতার সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।
“স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের জের ধরে ষড়যন্ত্র করে বিরোধী পক্ষ তাকে ফাঁসিয়েছে।”