শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানে ডুজারিক একথা জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মানবাধিকার দেখভালের দায়িত্বে থাকা সহকর্মীদের সঙ্গে আমরা ব্লগারের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলেছি। তারা এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় দ্রুত দুর্বৃত্তদের বিচারের আওতায় আনার আশা প্রকাশ করেছেন।
“বাংলাদেশে সুশীল সমাজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও তারা বলেছেন।”
বইমেলা থেকে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।
গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকরা অভিজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলায় তার স্ত্রী বন্যাও আহত হয়েছেন। চাপাতির আঘাতে তার হাতের একটি আঙুল পড়ে গেছে, মাথায়ও জখম হয়েছেন তিনি।
প্রকৌশলী অভিজিৎ ব্লগে লেখার পাশাপাশি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে নিয়মিত লিখতেন। সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখির জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হুমকি পেয়েছিলেন তিনি।
অভিজিৎ হত্যায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক অজয় রায়।
মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা না হলে ছেলে হত্যার পিছনে জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের পর দুই দিন হতে চললেও এখনো এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। জড়িত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারও করা হয়নি।
এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ চাইলে তদন্তে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন অভিজিৎ।