‘আদিবাসীদের’ দেশান্তর করার অভিযোগ কাপেং ফাউন্ডেশনের

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষজনকে দেশান্তর করার অভিযোগ তুলে বাৎসরিক প্রতিবেদন দিয়েছে আদিবাসী গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা বিষয়ক সংগঠন কাপেং ফাউন্ডেশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2015, 06:23 PM
Updated : 27 Feb 2015, 06:23 PM

তারা বলছে, নিরাপত্তা জনিত কারণে ২০১৪ সালে বান্দরবান থেকে ১৫০টি পাহাড়ি পরিবার মিয়ানমারে দেশান্তরিত হয়েছে এবং সমতলে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের মুখে ভারতে চলে গিয়েছে ৬০টি পরিবারের ৩০০ জন।

শুক্রবার কারওয়ানবাজারে একটি মিলনায়তনে বাৎসরিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সেমিনারের আয়োজন করে সংগঠনটি।

কাপেং ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত ‘হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট ২০১৪’ এ বলা হয়েছে, গত এক বছরে বান্দরবান জেলার আলিকদম-থানচি মধ্যবর্তী পাহাড়ি এলাকায় ১৫০টি পরিবারের অন্তত ৫০০ জন লোক নিরাপত্তার অভাবে মিয়ানমারে দেশান্তরিত হয়েছে।

এছাড়া সমতলে ৬০টি পরিবারে ৩০০ জন আদিবাসী সাম্প্রদায়িক আক্রমণের মুখে বাধ্য হয়ে ভারতে পাড়ি জামিয়েছে।

জনসংহতি সমিতির আন্দোলন প্রসঙ্গে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাম্প্রতিক হুমকির মুখে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামগ্রিক পরিস্থিতির চরম অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

কাপেং ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন চৈতালী ত্রিপুরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাহাড় ও সমতলে বসবাসকারী আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে কাপেং ফাউন্ডেশন কাজ করে থাকে। তবে এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে আমাদের বিশেষ মনযোগ ছিল।”

২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিত বাৎসরিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।

পাহাড়ি ও অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীদের দেশান্তরি হওয়ার প্রসঙ্গে চৈতালী ত্রিপুরা বলেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের বোঝা উচিত একটা জনগোষ্ঠী কতটা অধিকারহীন হলে দেশান্তরি হতে বাধ্য হয়।”