শুক্রবার দুপুরে ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের জালাল মন্ডলের ডাঙ্গি এলাকায় মেছোবাঘটি দেখে হামলা চালায়।
ডিগ্রিরচর ইউপি সদস্য জামিল মন্ডল জানান, মেছোবাঘ আতংকে থাকা গ্রামবাসী জালাল মন্ডলের ডাঙ্গি এলাকায় একটি কাশবনে মেছোবাঘটি দেখতে পেয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
প্রায় সাড়ে তিন ফুট লম্বা মেছোবাঘটির গায়ে সাদা-কালো ছোপ ও ডোরাকাটা দাগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর চরাঞ্চল নর্থচ্যান ইউনিয়নের কবিরপুর ও মুনসুরাবাদ এবং ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের মোহন মিয়ার হাট সংলগ্ন গ্রামে কয়েকটি মেছোবাঘ গত একমাস যাবত গবাদিপশু ও শিশুদের তাড়া করছিল।
সপ্তাহখানেক আগে মুনসুরাবাদ গ্রামের মালেক শেখের ছেলে শহীদকে ক্ষেতে কাজ করার সময় একটি মেছোবাঘ আক্রমণ করে আহত করে। তাকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর পর থেকেই চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দিন-রাত পালা করে এলাকাবাসী পাহারা দিচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কলেক্টর (এনডিসি) মনদীপ ঘরাই জানান, মৃত মেছোবাঘটিকে উদ্ধারের জন্য ফরিদপুর বনবিভাগকে বলা হয়েছে।
ওই এলাকায় আর কোনো হিংস্র বন্যপ্রাণীর সন্ধার পাওয়া গেলে সেগুলো না মেরে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে তাদের বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নর্থচ্যানেল ইউপি চেয়ারম্যান মুস্তাকউজ্জামান জানান, মেছাবাঘগুলোর ব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। এলাকাবাসী রাত জেগে বাঘগুলোকে ধরার চেষ্টা করছিল।
তবে একটিকে যেভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে সেটা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনিও আর কোনো মেছোবাঘকে না মেরে পুলিশকে খবর দেওয়ার কথা বলেন গ্রামবাসীকে।