সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত পৌনে ১২টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। একই সঙ্গে চলে শিলা বৃষ্টি।
১৫/২০ মিনিটের এই ঝড়-বৃষ্টিতে অনেক ঘরবাড়ি ও গাছপালা পড়ে গেছে এবং মাঠের ইরি-বরো ক্ষেত, রবিশস্য ও আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
সাদুল্লাপুরের কামারপাড়া, নলডাঙ্গা, বনগ্রাম, রসুলপুর, দামোদরপুর এবং সদর উজেলার কুপতলা, রামচন্দ্রপুর, খোলাহাটি, কামারজানি ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এসব এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি ও পাঁচ শতাধিক গাছপালা ভেঙে গেছে।
কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুকমল চৌধুরী গৌতম জানান, পুরান লক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রায় অর্ধশত ঘর ও শতাধিক গাছ ঝড়ে ভেঙে গেছে।
ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা আশ্রয়হীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, এখনও উপজেলাগুলো থেকে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে সঠিক কোনো তথ্য তিনি পাননি।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অমিনুল ইসলাম জানান, রাতের বেলায় বৃষ্টির কারণে ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়। জরিপ করে সঠিক তথ্য দেওয়া হবে।