অভিজিতের পিসতুতো (ফুফাতো) ভাই বিষ্ণু রায় শুক্রবার এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মৃত্যুর পর নিজের মৃতদেহ মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীদের গবেষণার কাজে দান করার ইচ্ছা ছিল অভিজিৎ দা’র। তার সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্ম ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার লেখক অভিজিতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আগামী রোববার তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে রাখা হবে বলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর জানিয়েছেন।
অভিজিতের বাবা অজয় রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। তার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সুহৃদ শাহরিয়ার কবীর অভিজিতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে অভিজিতের লাশের ময়নাতদন্তের পর তা সংরক্ষণ করা হয়েছে। রোববার সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর পর মৃতদেহ মেডিকেলে দান করা হবে।”
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রকৌশলী অভিজিৎ।
লেখালেখি নিয়ে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল জঙ্গিবাদীরা।
হামলায় তার স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিজিৎ ও বন্যার ওপর কারা হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু বের করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে একইভাবে চাপাতি দিয়ে লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় জঙ্গিরা জড়িত ছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকেও রাজধানীর মিরপুরে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই হত্যাকাণ্ডেও জঙ্গিবাদীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।