বুধবার রাজশাহীর শিরোইল বাস ট্রার্মিনালে এক সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
শাজাহান খান বলেন, “যে দানব মানুষ খুন করে, যে দানব মানুষের রক্ত চুষে খায়, তার বাইরে থাকার দরকার নেই। তাকে অবিলম্বে খাঁচার ভেতর বন্দি করুন। তাকে গ্রেপ্তার করুন।”
‘পেট্রোল বোমায় নিহত, আহত ও পরিবহনে জ্বালাও পোড়াওয়ের’ প্রতিবাদে ওই সমাবেশ করে বাস-ট্রাক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই সমাবেশে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ কয়েকজন পরিবহন শ্রমিককে পাশে নিয়ে শাহজাহান খান প্রশ্ন রেখে বলেন, “খালেদা জিয়া আপনি কি এই শ্রমিকদের প্রতিপক্ষ বানাতে চান? এদেরকে পুড়িয়ে মারতে চান? আপনার সেই ইচ্ছা কোনোদিন পূরণ হবে না। যেদিন এই বাংলার মানুষ একসঙ্গে আপনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে সেইদিন আপনার এই দেশে আর জায়গা হবে না। আপনি পাকিস্তান যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন।”
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “নবম ও দশম সংসদের যা অর্জন তা জামায়াত-শিবির জোট নষ্ট করতে চায়। কিন্তু তা সম্ভব হবে না। এ দেশের মানুষ তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরেছেন। তারা নাশকতা করে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল চায়। তাই মানুষ আর হরতাল-অবরোধ মানছেন না।”
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, রাত্রীকালীন কোচ চলাচল বন্ধ রাখার ফলে নাশকতার ঘটনা অনেকটাই কমে গেছে।
তবে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে নৈশকোচ চালু করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সভাপতি এনামুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।