অপচয় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2015, 04:19 PM
Updated : 8 Feb 2015, 04:24 PM

একইসঙ্গে বেসরকারি ও কর্পোরেট খাতের আর্থিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।

রোববার ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) ২০তম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “জনগণের কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় যাতে না হয় তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি হিসাব-নিরীক্ষার সাথে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টগণ সততার সাথে দেশের অর্থ ব্যবস্থায় অপচয় রোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা করি।

 “আর্থিক প্রশাসন এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু জবাবদিহিতা অপরিহার্য। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আর্থিক শৃঙ্খলা বিধানে সরকার বদ্ধপরিকর।”

বেসরকারি ও কর্পোরেট খাতের আর্থিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দরকার বলিষ্ঠ এবং গতিশীল অর্থনীতি। কারণ তা বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সঞ্চয় বৃদ্ধি করে এবং জনগণের সামগ্রিক অর্থনৈতিক জীবনমান ত্বরান্বিত করে।

“দেশের অর্থনীতির আকার আজ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও কর্পোরেট খাতেরও বিকাশ ঘটেছে। এই বিশাল অর্থনীতির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরি।”

নিরীক্ষকদের জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পেশার প্রধান মূলধন হচ্ছে সততা এবং আপনাদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা। আপনারা আপনাদের ‘কোড অব এথিকস’ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে নিজেদের সততা এবং সমাজের বিশ্বাস ও আস্থাকে  সমুন্নত রাখবেন এবং একই সাথে জাতীয় স্বার্থকে সবসময় অগ্রাধিকার দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।”

আর্থিক প্রতিবেদনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি হিসাবের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আর্থিক প্রতিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত অবস্থা জানা যায়, যা আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

ডিগ্রিপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সনদপত্র নেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মসিহ মালিক চৌধুরী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এফ নেছারউদ্দিন।