জুবায়ের হত্যায় পাঁচ জনের ফাঁসি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র  জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে ছয় জনের।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2015, 07:16 AM
Updated : 8 Feb 2015, 03:01 PM

দণ্ডিতরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী। তিন বছর আগে সংগঠনের আরেক পক্ষের হামলায় নিহত জুবায়েরও ছাত্রলীগ করতেন। এ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে দুজন খালাস পেয়েছেন।

ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক  রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-  প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইছ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের রাশেদুল ইসলাম রাজু  এবং  সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র মাহবুব আকরাম।

মামলার বিচার চলাকালে এরা সবাই পলাতক ছিলেন।

যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে দর্শন বিভাগের ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ ও কামরুজ্জামান সোহাগ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ড ওরফে অভি এবং অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাজমুস সাকিব তপুর।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

এ হত্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র নাজমুল হাসান প্লাবন ও ইতিহাসের মাহমুদুল হাসান।

দণ্ডিতদের মধ্যে আশিক, রইছ, আকরাম ও অরূপ শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যান। মাহবুব আকরাম ছাড়াও নাজমুস সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

রায় ঘোষণার আগে সকালে আসামিদের মধ্যে কারাবন্দি সোহাগ, মাজহারুল, সেতু, অভি,  তপু, প্লাবন ও মাহমুদুলকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও অবরোধের মধ্যে আসামিদের কারাগার থেকে না আনায় তা পিছিয়ে যায়।

তিন বছরের বেশি সময় বিচার চলার পর গত ২৮ জানুয়ারি বিচারক নিজামুল হক এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন দিয়েছিলেন।

ওই দিনই সাত আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যাদের দুজন খালাস পেয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র জুবায়ের ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। এ ঘটনায় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলা করেন।

২০১২ সালের ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ। হত্যাকাণ্ডের দেড়বছর পর মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এলে তা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

জুবায়ের নিহত হওয়ার পর ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে পদত্যাগে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়কার উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির।