ইটিভি চেয়ারম্যানের জামিন নাকচ

পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় একুশে টিভির (ইটিভির) চেয়ারম্যান আবদুস সালামের জামিন আবেদন জজ আদালতেও নাকচ হয়ে গেছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2015, 02:12 PM
Updated : 1 Feb 2015, 02:12 PM

সালামের আইনজীবী ইউনুস আলী বিশ্বাস রোববার জামিনের এই আবেদন নিয়ে গেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইমরুল কায়েস শুনানি শেষে তা নাকচ করে দেন।

গত ৬ জানুয়ারি গভীর রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইটিভির কার্যালরের সামনে থেকে সালামকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে এক নারীর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সালামকে ঢাকার হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একুশে টেলিভিশনের অপরাধ বিষয়ক অনুষ্ঠান  ‘একুশের চোখ’ এর একটি পর্ব নিয়ে কানিজ ফাতেমা নামের এক নারী গত ১৭ নভেম্বর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।

তবে ওই এজাহারে যে চারজনকে আসামি করা হয়েছে তাতে ইটিভি চেয়ারম্যানের নাম ছিল না। সেখানে আসামি হিসাবে ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকার বাসিন্দা জহিরুল হক ইমরান, মানিকদি মাস্টারটেকের বাসিন্দা জাকির হোসেন ও মো. শাহজালাল এবং একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক মো. ইলিয়াসের নাম রয়েছে।

এর মধ্যে শাহজালাল বাদীর সাবেক স্বামী; আর জহিরুল বাদীর সঙ্গে ‘ধর্মভাইয়ের’ সম্পর্ক পাতিয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত শাহজালাল বিভিন্ন সময়ে কানিজ ফাতেমার ওপর নির্যাতন চালাতেন। তার নামে একটি ফ্ল্যাট লিখে দেওয়ার পরও নির্যাতন থামেনি।

এ কারণে ফাতেমা পরে শাহজালালকে তালাক দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। 

বাদী বলেছেন, জহিরুল ‘ধর্মবোন’ ডেকে তার কিছু ভিডিও ধারণ করেছিলেন। তালাকের পর শাহজালাল ও অন্য আসামিদের যোগসাজশে সেই ভিডিও থেকে মুখচ্ছবি নিয়ে অন্য এক নারীর অশ্লীল ভিডিওর ওপর বসিয়ে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়। এলাকায় সেই ছবি দিয়ে পোস্টারও লাগানো হয়।

গত বছর ৬ নভেম্বর ‘একুশের চোখ’অনুষ্ঠানে বাদিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সালামকে গ্রেপ্তারের পর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়, যাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও আসামি।