এছাড়া আগের রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানার সামনে, পুরানবাজার ও বাবুরহাট এলাকায় পাঁচটি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববার ভোরে শহরের পাওয়ার হাউস এলাকায় ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্ত্রে হাতবোমা ছোড়া হয়।
বিকট শব্দে হাতবোমা বিস্ফোরিত হলেও কেন্ত্রের ট্রান্সফরমারটি অল্পের জন্য রক্ষা পায়।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে অফিস শুরুর পর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী ও জাতীয় বিদুৎ শ্রমিক লীগ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম জানান, হরতালের আগের রাতে চাঁদপুর মডেল থানা সংলগ্ন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির অফিসের সামনে পর পর দুটি হাতবোমা ফাটানো হয়।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ হাসপাতাল ও থানা রোড এলাকায় অভিযান চালালেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এছাড়া নতুনবাজার-পুরানবাজার সেতু এলাকায় ছোড়া হাতবোমার স্প্লিন্টারে এক পথচারী আহত হয়েছেন।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়া শনিবার রাত ১০টার দিকে বাবুরহাট বাজার এলাকায়ও পর পর দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আট জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর।