যে ভেন্টিলেটরে রেখে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল রোববার সকালে সেখানেই শিশুটির মৃত্যু হয় বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মুশফিকুর রহমান জানান।
শনিবার শিশুটিকে মৃত ঘোষণার পর মৃত্যুসনদ দেওয়া এবং দাফনের আগে গোসলের সময় তার নড়ে ওঠার ঘটনাটি গণমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেয়।
সুলতানা আক্তার নামের এক নারী শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে শিশুটির জন্ম দেন।
শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, জন্মের পর তার বাচ্চা এতোই ছোট ছিল যে তাকে ঠিকমতো কোলেও নেওয়া যাচ্ছিল না।
গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফেরদৌসী ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শিশুটি ‘প্রিম্যাচিউরড’ হওয়ায় ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শ্বাসকষ্টের সঙ্গে হৃদস্পন্দনও কম ছিল।
শনিবার সকালে বাচ্চার সাড়া না পেয়ে বিষয়টি চিকিৎসককে অবহিত করেন জাহাঙ্গীরের মা হনুফা বেগম। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মৃত্যু সনদও দেওয়া হয়।
দুপুরে দাফনের জন্য আজিমপুর করবস্থানে নিয়ে গেলে সেখানে গোসলের সময় সবাইকে চমকে দিয়ে নড়ে উঠে শিশুটি।
জাহাঙ্গীর বলেন, “গোলসের সময় বাচ্চা আমার স্ত্রীর ভগ্নিপতি মাহমুদুল করিমের কোলে ছিল। তিনি হঠাৎ চিৎকার করে বলতে থাকেন- বাচ্চা নড়ছে। এ অবস্থায় আমরা দ্রুত তাকে মেডিকেলে নিয়ে যাই।”
‘প্রাণ ফিরে পাওয়া’ শিশুটিকে এরপর ২১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। রোববার সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবিএম জামালকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর কেরানীগঞ্জে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করেন। থাকেন চুনকুটিয়ায়। জেরিন নামে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তার। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে।