শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে চবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এই আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, “দেশের চলমান পরিস্থিতিতে অপারগ হয়ে রাস্তায় নেমেছি। বর্তমানে শিশু থেকে শুরু করে গর্ভবতী মা- কেউই অবরোধের আগুন থেকে নিরাপদ নয়।
“এ হামলা প্রতিরোধে শুধু সরকারি পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়। এগিয়ে আসতে হবে আমাদেরও। রাজনৈতিক দলগুলোকেও মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবা উচিত।”
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, “২০ দলের চলমান আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলন বলতে আমরা নারাজ। এটি নকশালবাদী আন্দোলনের মত মানুষ মারার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, “এ ধরনের হামলায় যারা জড়িত তারা রাজেনৈতিক কর্মী নয়, সন্ত্রাসী। এদের কর্মকাণ্ডে আমরা উদ্বিগ্ন। এদের দ্রুত বিচার করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরে আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক মনজুরুল আলমের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর সিরাজ উদ দৌল্লাহ, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, চবি শিক্ষক কুন্তল বড়ুয়া, মাধব চন্দ্র দাস, দেলোয়ার হোসেন ও মোশরেকা অদিতি হক।
মানবন্ধনে সংহতি জানান চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শওকত বাঙালি।