শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পরীক্ষা শুরুর একদিন আগে হরতালের মধ্যে পড়া পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে হরতাল প্রত্যাহারে বেশ কয়েকদিন ধরেই অনুরোধ জানিয়ে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ।
অবরোধ প্রত্যাহার না হলেও পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানের কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
তবে এর মধ্যেই শুক্রবার বিরোধী জোট এক বিবৃতিতে রোববার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পর পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার কি ভাবছে- জানতে চাওয়া হলে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, “হরতাল এবং অবরোধের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার অংশ নিচ্ছে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি বর্ষপূর্তির দিনে ঢাকায় সমাবেশ করতে না পেরে সারা দেশে লাগাতার অবরোধ ডাকেন, যার মধ্যেই বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে হরতাল হচ্ছে।
এ বছর ২৭ হাজার ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তিন হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ১০ হাজার ২৯৫ জন এবার মাধ্যমিক সমাপনীর এ পরীক্ষা দেবে।
এর আগেও ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের হরতালের কারণে এসএসসির ৩৭টি বিষয় এবং এইচএসসির ৪১টি বিষয়ের পরীক্ষা পেছানো হয়েছিল।
ওই বছরের জেএসসি-জেডিসির ১৭টি বিষয় এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হরতালের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া গত বছরের শেষ দিকে জেএসসি-জেডিসি এবং প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষাও বিএনপির হরতালের কবলে পড়লে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা পিছিয়ে যায়।