শুক্রবার সকাল ও দুপুরে এ দুটি ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওয়ারি থানার ওসি তপন কুমার পাল জানান, বেলা আড়াইটার দিকে আদমজী থেকে গুলিস্থানগামী মদীনা এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায় বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা খন্দকার আবদুল জলিল জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদরঘাট থেকে আব্দুল্লাহপুরের পথে চলাচলকারী ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয় বলে বংশাল থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস ফকির জানান।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, তাদের দুটি ইউনিট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। তবে তার আগেই বাসটি পুড়ে যায়।
বাসের চালক বাশার শেখ জানান, ১২ থেকে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে সদরঘাট থেকে তিনি রওনা হন। গুলিস্তানের দিকে যাওয়ার সময় ইংলিশ রোডে পৌঁছানোর পর বাসে আগুন দেওয়া হয়। আগুন লাগার পর যাত্রীরা জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে যান।
যাত্রীবেশে বাসে উঠে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন চালক।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়ে সারা দেশে লাগাতার অবরোধ ডাকার পর প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।
অবরোধের এই ২৪ দিনে নাশকতা ও সহিংসতায় অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যানবাহনে দেওয়া আগুন ও পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়েছে বহু মানুষ।
এর মধ্যে দুটি ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলাও হয়েছে, যিনি অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
অন্যদিকে ‘যে কোনো উপায়ে’ নাশকতা দমনের জন্য পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।