বৃহস্পতিবার বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব হিসেবে এটি উত্থাপন করেন যশোর-২ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম। পরে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবের ওপর আরো কয়েকজন সদস্য সংশোধনী আনলেও তা গৃহীত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মূল প্রস্তাবটি গ্রহণের কথা জানালেও সংশোধনীগুলো প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালে কণ্ঠভোটে তা নাকচ হয়ে যায়।
সংসদে মন্ত্রীদের বাইরে সকল সদস্যকে বেসরকারি সদস্য বলা হয়। মন্ত্রীসহ যে কোনো সদস্য জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্পিকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব আনতে পারেন।
এছাড়াও নোয়াখালী-৩ আসনের মামুনুর রশীদ কিরন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, নাভানা আক্তার ও নূর জাহান বেগম মূল প্রস্তাবকে সমর্থন করে পৃথক প্রস্তাব দেন।
মুক্তিযুক্ত বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক মূল প্রস্তাবটি গ্রহণের কথা জানিয়ে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
এর আগে দশম সংসদে ভারত থেকে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)-এর তালিকা সংগ্রহ একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছিল।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে গত নবম সংসদে একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গ্রহণের পর এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করে তৎকালীন মহাজোট সরকার।