বুধবার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত এবং তাদের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন নজরে আনলে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেয়।
একইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, এসব রিং গ্রহণকারী ও রোগীর দেহে তা প্রতিস্থাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরানো নিয়ে বুধবার চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে একটি প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হয়।
‘মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরিয়ে হৃদরোগ চিকিৎসার ভয়াবহ চিত্র’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি টিভি চ্যানেলটির অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করা হয়, আদালতে যেটি পড়ে শোনান আইনজীবী জায়েদি হাসান খান।
পরে তিনি জানান, রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত রোগীর দেহে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরানোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এছাড়া জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মেয়াদোত্তীর্ণ রিং পরানোর অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত, বলেন আইনজীবী জায়েদি।।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।