জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের (ফিল্ড সাপোর্ট) পদ থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি বিদায় নিচ্ছেন এই বাংলাদেশি।
আমিরা হকের বিদায় উপলক্ষে বুধবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন মহাসচিব বান কি মুন। আমিরা হকের কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করেন তিনি।
আমিরা হক গত জুলাই মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ৩১ জানুয়ারি থেকে তার পদত্যাগ কার্যকর হবে।
নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির উচ্চতর ডিগ্রিধারী আমিরা হক জাতিসংঘে যোগ দেওয়ার পর ৪০ বছরের মধ্যে ২১ বছরই কাটিয়েছেন দাঙ্গা-হাঙ্গামাপূর্ণ বিভিন্ন অঞ্চলে। ১৯ বছর কাজ করেন সদরদপ্তরে।
নিজের ব্যক্তিগত কনফারেন্স কক্ষে মধ্যাহ্নভোজের পর এই অনুষ্ঠানে বান কি-মুন বলেন, “দাঙ্গা-হাঙ্গামায় পরিপূর্ণ দেশগুলোতে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমিরা হকের ভূমিকা জাতিসংঘে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একইসাথে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সৈনিকদের ভূমিকাও জাতিসংঘের প্রতিটি পর্যায়ে প্রশংসিত হচ্ছে।”
আমিরা হকের মতো কর্মনিষ্ঠ মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে জাতিসংঘের লক্ষ্য অর্জনও ততো ত্বরান্বিত হবে বলে মন্তব্য করেন মহাসচিব।
বিদায় অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন বলেন, আমিরা হক ছিলেন বাংলাদেশিদের অহংকারের প্রতীক।
“তিনি বিদায় নেওয়ায় জাতিসংঘ শীর্ষপদে আর কোনো বাংলাদেশি থাকবেন না। মহাসচিব এ বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে আমরা আশা করছি।”
এ সময় মহাসচিব বান কি-মুনকে হাসতে দেখা যায়।
অবশ্য পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চল পুনর্গঠনে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্যানেলের সদস্য করা হয়েছে আমিরা হককে।
এপ্রিল থেকে এ প্যানেলের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করবেন তিনি।