কুতুবদিয়ায় ৪৩ জন জীবিতসহ ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার

অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামী যাত্রী নিয়ে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2015, 06:25 AM
Updated : 29 Jan 2015, 05:57 PM

বৃহস্পতিবার সকালে খুদিয়ার টেক পয়েন্টে ডুবে যাওয়ার পর সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে।

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অপারেশন অফিসার লে. কমান্ডার ফজলুল করিম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ট্রলারটিকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়নের সরাইতলা এলাকায় ধলঘাটা চ্যানেলের উপকূলে নেওয়া হয়েছে।

ফজলুল করিম বলেন, উদ্ধার হওয়া ট্রলারটিতে নৌ-বাহিনীর ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে ভেতরে আর কাউকে পায়নি।

উদ্ধারকৃতদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ট্রলারটিতে অন্তত ৬০ জন ছিল। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কুতুবদিয়ার ওসি আংসাই থোই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশ সদস্যরা ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন।

উদ্ধারকৃতদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “তারা চট্টগ্রামের মাঝের ঘাট এলাকা থেকে বুধবার রাতে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুতুবদিয়ার দক্ষিণে এসে ট্রলারটি ডুবে যায়। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের কুতুবদিয়া থানায় আনা হয়েছে।

মহেশখালী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় মহেশখালীর মাতারবাড়ি থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রাম থেকে কোস্টগার্ডের উদ্ধারযান তানভীর ও তৌহিদ এবং নৌ-বাহিনীর উদ্ধারযান অতন্দ্র ও অপরাজেয় জাহাজসহ কোস্টগার্ডের আরো দুটি ছোট ট্রলার উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

ট্রলার থেকে উদ্ধারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের আবুল কালাম (৩২), শাহদাত (১৭), শফিক (২৩), শরীফ সিকদার (২৬) ও কায়ছার (২০)।

যশোরের নাজিম উদ্দিন (৩৫), সাত্তার হোসেন (২৫), খোকন হোসেন (২০), সিরাজুল ইসলাম (২৬), সবুজ হোসেন (১৮), ইয়াছিন হোসেন (১৯), সুজন হোসেন (২০), রফিকুল ইসলাম (৪২), আয়ুব হোসেন (২৬), আলমগীর হোসেন (২৫), ফয়েজ (২৬), সাইফুল ইসলাম (২২), জিন্নাত হোসেন (৩৫) ও ইব্রাহিম (২০)।

নরসিংদীর সবুজ (২৩), ওয়াহিদ (২৮), গোলাপ মিয়া (২৫), আল-আমিন (১৯), ইউনুস হোসেন (২০), শাহজাহান মিয়া (৩৪) ও মোশারফ হোসেন (২৩)।

মাদারীপুরের ইব্রাহিম হোসেন (২৫), উজ্জল মোল্লা (৩০), শহীদুল ইসলাম (২৩), জুল্লাহ হোসেন (২৬), নিয়ামত শেখ (২৪), শিমুল (২৬) ও নুরুজ্জামান খালাপি (২৯)।

কক্সবাজারের ইয়াসিন হোসেন (১৭), ইসমাঈল হোসেন (৩৫), ওবাইদুল হক (৩৬), নুর মোহাম্মদ (৫০), ট্রলারটির মাঝির সহকারি (খালাসী) সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম পোখখালীর মৃত আলমের ছেলে ছৈয়দ আলম (৩২) ও একই এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে রাসেল (৩০)।

সিলেটের রফিজ আলী (২২) ও আলম (২৪) এবং নওগাঁর আজাহার (৪৫) ও বগুড়ার রুবেল হোসেন (২৮)।