শাহআলী মাজার নিয়ে দুই এমপির বিতণ্ডা

রাজধানী মিরপুরের শাহ আলী মাজার পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিতণ্ডায় জড়ালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক ও তরীকত ফেডারেশনের প্রধান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2015, 05:06 PM
Updated : 28 Jan 2015, 05:41 PM

বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তারা তর্কাতর্কিতে জড়ালে কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠক অংশ নেওয়া এক সংসদ সদস্য জানান, কমিটির আগের বৈঠকের সুপারিশ অনুযায়ী ওয়াকফ প্রশাসন মিরপুরের শাহআলী মাজার পরিচালনা ও এর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নজিবুল বশরকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে।

ওই কমিটিতে স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধিসহ আরও অনেককে রাখা হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে নাখোশ হন আসলামুল হক।

তিনি এর আগের বৈঠকে অংশ না নিলেও বুধবারের বৈঠকে অংশ নিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সাংসদ বলেন, “আসলাম সাহেব বলেছেন- ‘আমি ওই এলাকার এমপি। আমাকে না জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল’।”

এক পর্যায়ে তিনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং নজিবুল বশরকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।

নজিবুল বশর এ সময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে নেওয়ার কথা বলেন।

এ পর্যায়ে আসলামকে উদ্দেশ্য করে কমিটি সভাপতি বজলুল হক হারুন সবাইকে শান্ত হওযার আহ্বান জানান।

জানতে চাইলে মাইজভান্ডারী সাংবাদিকদের বলেন, “আসলাম সাহেব মাজার কমিটির সভাপতি ছিলেন। ওই কমিটি আদালত বাতিল করে দিয়েছে। তিনি এখন দাবি করছেন সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছেন। কিন্তু আপিল বিভাগ তো কোন স্থগিতাদেশ দেননি। এর আগে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক দিয়ে কমিটি করা হয়েছিল। তারা সেখানে যেতেই পারেননি।”

আসলামুল হক বলেন, “ওয়াকফ স্টে আইনের কিছু বিষয় মাইজভান্ডারী সাহেব বুঝতে সময় নিয়েছেন। তেমন কিছু ঘটেনি। আমরা তো দু’জনেই সংসদ সদস্য। সবকিছুই ঠিক আছে।”

বৈঠকে আরো অংশ নেন এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), মো. মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ আমীর হোসেন এবং দিলারা বেগম।

বিশেষ আমন্ত্রণে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানও বৈঠকে অংশ নেন।