ওই নারীর নাম রহিমা খাতুন টুনি (৩০)। তিনি শার্শার মহিষাকুড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
গত ২৪ জানুয়ারি দেশে ফেরার পর ঢাকার শ্যামলীতে তার সর্বশেষ অবস্থান জানা যায় বলে শার্শা থানার এসআই আমিরুল ইসলাম জানান।
রহিমা তিন বছর আগে জর্ডান যান, সেখানে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। বিদেশে থাকাকালে সেখানে তিনি নিজের টাকা খরচ করে এক বাংলাদেশি যুবককে কারামুক্ত করেছিলেন।
দেশে ফেরার পর ওই যুবকই রহিমাকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
এসআই আমিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রহিমার স্বজনরা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে এসেছিলেন। কিন্তু ঘটনাস্থল ঢাকা হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগটি ওখানে করার জন্য তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রহিমার বাবা আবুল হোসেন বলেন, ঢাকায় যেতে চাইলেও অবরোধের কারণে তা পিছিয়ে গেছে। অবশেষে বুধবার সকালে তারা ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন। সেখানে শ্যামলী থানায় যোগাযোগ করবেন।
ছোট বোন নাজমা সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জর্ডানে থাকার সময় রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ থানার মনিরুজ্জামান ওরফে আজাদ নামে একজনের সঙ্গে তার বোন রহিমার সম্পর্ক হয়।
“আজাদ ওখানে অবৈধভাবে থাকার কারণে পুলিশের হাতে আটক হয়। তখন রহিমা নিজের তিন লাখ টাকা খরচ করে তাকে মুক্ত করে। কিন্তু ওই সময় আজাদ টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। এরই মধ্যে আজাদ দেশে ফিরে আসে এবং রহিমাকে দেশে এসে টাকা নেওয়ার কথা বলে।”
নাজমা বলেন, গত শনিবার বেলা ১২টার দিকে রহিমা ঢাকায় পৌঁছে মোবাইলে বাড়িতে তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
“আজাদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং পাওনা তিন লাখ টাকা বিমানবন্দর থেকে দিয়ে বাড়িতে আসার বাসে তাকে তিনি তুলে দেবে বলে আপা বলেছিলেন।”
“কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই আপা ফোনে বলেন, ‘আজাদ বিমানবন্দরে না এসে তার এক বন্ধুকে পাঠিয়েছে। তিনি আমাকে বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শ্যামলীতে নিয়ে এসেছেন’।”
বেলা ৩টার দিকে এই কথোপকথনের পর থেকে রহিমার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
দেশে ফেরার সময় রহিমার কাছে ছয় থেকে সাত ভরি স্বর্ণ ও চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা ছিল বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।