মঙ্গলবার বিকালে বন্দর নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড় এলাকায় আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী গণঅবস্থান ও সমাবেশে বক্তারা এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সমাবেশ শেষে সব শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে আলোর মিছিলের আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চেরাগী পাহাড় মোড়ে শুরু হয় গণঅবস্থান কর্মসূচি।
‘রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা বন্ধ করো’ শ্লোগান নিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় শুরু হয় সমাবেশ।
সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাশেদ হাসান বলেন, “সব ধরণের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার দলগুলোর আছে। কিন্তু মানুষ হত্যার অধিকার কেউ বিএনপিকে দেয়নি। জামায়াতের ভূত এখন বিএনপির কাঁধে উঠেছে।
“বিএনপি তাই গণতান্ত্রিক চেহারা হারিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করছে। আমাদের সামনে বাংলাদেশ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হবে তা মেনে নেব না।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সদস্য সচিব ডা. চন্দন দাশ বলেন, পরাজিত হতে বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। যুদ্ধপরাধীরাই নামে-বেনামে এদেশে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য কায়েম করছে।
“অবিলম্বে দণ্ডিত সব যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কার্যকর করতে হবে। এদেশে যাতে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কোনো শক্তি রাজনীতি করতে না পারে সে আইন করতে হবে।”
গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাহা, মুক্তিযোদ্ধা অরুণ সাহা, কবি কামরুল হাসান বাদল, খেলাঘর সংগঠক মোরশেদ আলম চৌধুরী, বাসদ চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক মহিম উদ্দিন, উদীচী জেলা শাখার সহ-সভাপতি সুনীল ধর, সহ-সাধারণ সম্পাদক জয় সেন, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী তরুণ উদ্যোগের সংগঠক মিন্টু চৌধুরী, শিক্ষিকা সালমা জাহান মিলি, ছাত্র ইউনিয়নের তপু বড়ুয়া ও ছাত্র ফ্রন্টের আল কাদেরী জয়।
সমাবেশ শেষে মোমবাতি হাতে আলোর মিছিল চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।