বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মঙ্গলবার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানী দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০১৫’ জাতীয় সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে সেটি অনুমোদন করা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর দেশে বিদ্যুতের বড় ধরনের ঘাটতির প্রেক্ষাপটে ২০১০ সালে এই আইন করা হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ‘বিশেষ কমিটির’ মাধ্যমে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করার বিধান রাখা হয় এতে।
এর আওতায় সরকার স্বল্পসময়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, ওয়েবসাইটে প্রচার চালিয়ে বা ই-মেইলে যোগাযোগ করে ‘আলোচনা ও দর কষাকষির মাধ্যমে’ বিদ্যুৎ বা জ্বালানি প্রকল্পের জন্য চুক্তি করতে পারে।
শুরুতে এ আইনের মেয়াদ দুই বছর থাকলেও ২০১২ সালের নভেম্বরে আইন সংশোধন করে মেয়াদ করা হয় চার বছর। এবার আইনটির মেয়াদ বাড়ল আরও চার বছর।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, “দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতি এখনও পুরোপুরি মেটানো সম্ভব হয়নি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চলমান ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে আরও কিছু প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। সেজন্য আলোচ্য আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা আবশ্যক।”
সরকার গত চার বছরে এ আইনের আওতায় রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন, চলমান প্ল্যান্টসমূহের মেরামত এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
তবে ভাড়াভিত্তিক এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ফলে জ্বালানি আমদানিতে ভর্তুকির কারণে দেশের অর্থনীতি চাপে পড়ছে বলেও সমালোচনা রয়েছে।
গতবছর ২৫ অগাস্ট বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর ৩০ নভেম্বর বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী তা সংসদে উত্থাপন করেন। বিদ্যুৎ, জ্বলানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যাচাই বাছাইয়ের পর তা পাসের জন্য তোলা হয়।
মন্ত্রিসভায় এ প্রস্তাব পাসের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে এ আইনটি খুবই কার্যকর হয়েছে।”