নৌ মহড়ায় ‘অভিভূত’ রাষ্ট্রপতি

দেশের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ জাহাজে চড়ে বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর বার্ষিক মহড়া দেখে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ জানালেন, তিনি অভিভূত।

কামাল তালুকদার চট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2015, 01:30 PM
Updated : 27 Jan 2015, 01:30 PM

তিনি বলেন, “আমি আজ নৌবাহিনীর অফিসার ও নাবিকদের মধ্যে যে পেশাদারিত্ব লক্ষ্য করেছি তা তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ, কর্মস্পৃহা ও গভীর আত্মবিশ্বাস এবং সর্বোপরি দেশপ্রেমেরই প্রতিফলন।”

‘এক্সারসাইজ সি থান্ডার-২০১৫’ নামে ১৬ দিনের এই মহড়ার চূড়ান্ত পর্ব দেখতে সকালে চট্টগ্রাম থেকে একটি স্পিডবোটে করে নৌ বাহিনীর ফ্রিগেট সমুদ্র জয়ে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি।

নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিএন ফ্লোটিলার কমডোর এম খালেদ ইকবাল ও সমুদ্র জয়ের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন ডব্লিউ এইচ কুতুব উদ্দিন সে সময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।

বেলা সোয়া ১২টা থেকে সাগরের প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এলাকায় দুই ঘণ্টার এই মহড়া হয়, যাতে শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু সারফেস মিসাইল এবং সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট ডেপথ চার্জ ব্যবহার করে নৌ যুদ্ধের মহড়া দেন বাংলাদেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা।

যুদ্ধজাহাজগুলো থেকে সারফেস ফায়ারিংয়ের অনুশীলন হয় কমলা রংয়ের ঢাউস আকৃতির ‘কিলার টোমাটো’ পানিতে ভাসিয়ে।

গভীর সমুদ্রে এই মহড়া শেষে সমুদ্র জয়ের ডেকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের সামনে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, “নৌবাহিনীর বহুপ্রতীক্ষিত ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে চীন থেকে দুটি সাবমেরিন কেনার জন্য চুক্তি হয়েছে। সাবমেরিনগুলোর জন্য নৌবাহিনীর প্রথম দল ইতোমধ্যে চীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।”

২০১৬ সালের মধ্যে সাবমেরিনগুলো বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর বহরে যুক্ত হলে এ বাহিনীর সক্ষমতা ‘বহুগুণ’ বাড়াবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, পটুয়াখালীতে নতুন নৌঘাঁটি শের-ই-বাংলার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, যা সাবমেরিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর নৌবাহিনীতে সমুদ্র জয়ের কমিশনিংয়ে উপস্থিত থাকার কথা স্মরণ করে আবদুল হামিদ বলেন, “আজ সেই জাহাজে করে নৌবাহিনীর মহড়া অবলোকন করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করছি।”

সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও বর্তমান সরকার নৌবাহিনীকে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।