সেনা কবরস্থানে ‘অনুমতি মেলেনি’, প্রস্তুতি বনানীতে

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে বনানীর সামরিক করবস্থানে দাফনের অনুমতি মেলেনি বলে জানিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2015, 07:05 AM
Updated : 27 Jan 2015, 12:43 PM

কোকোর দাফনের জন্য বনানী কবরস্থানে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হলেও এ বিষয়ে বিএনপির কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত শনিবার দুপুরে হৃদরোগে মারা যান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, যিনি মুদ্রাপাচারের একটি মামলায় সাজা নিয়ে মালয়েশিয়ায় ছিলেন।

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে কোকোর কফিন ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় । একই ফ্লাইটে কোকোর স্ত্রী, দুই মেয়ে, মামা শামীম এস্কান্দার এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুও ঢাকায় আসেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান সোমবারও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বনানীর সামরিক কবরস্থানে তারা নিয়ম মাফিক আবেদন করেছেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

তিনি বলেন, “বনানী সেনা কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ দাফন পাওয়ার প্রাপ্য। উনি একজন সাবেক সেনা প্রধান ও মেজর জেনারেলের ছেলে।

“প্রচলিত নিয়মে তাকে (কোকো) সেখানে দাফন করতে আমরা সব আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সেখানে কোকোর দাফনের অনুমতি পাব। তার দাফন সেখানেই হবে।”

তবে মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ ইবরাহিম সাংবাদিকদের বলেন,  সামরিক কবরস্থানে কোকোর দাফনের অনুমতি মেলেনি।

কোথায় দাফন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনুমতি হয়নি এটি বলতে পারব। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।”

এরপর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে বনানী পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বনানী সিটি কর্পোরেশন কবরস্থানের খাদেমকে আরাফাত রহমান কোকোর দাফনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আরাফাত রহমানের দাফন সামরিক কবরস্থানে হচ্ছে না। আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। এখানে কবরের জায়গা বাছাই করা হচ্ছে।”

তবে কার কাছ থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা পেয়েছেন সে প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি এই সরকারি কর্মকর্তা।

দুপুরে খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে স্বজনদের শেষ দেখা ও শ্রদ্ধা জানানোর পর বিকাল ৪টায় কোকোর মরদেহ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে বিএনপির পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয়েছিল।