কোকোর মরদেহ গুলশানে

মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে গত ৩ জানুয়ারি থেকে অবস্থান করছেন তার মা খালেদা জিয়া।

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৭ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায় কোকোর কফিন।

একই ফ্লাইটে কোকোর স্ত্রী, দুই মেয়ে, মামা শামীম এস্কান্দার এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুও ঢাকায় আসেন।

বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার গেইটে কোকোর মরদেহ বুঝে নেন বিএনপির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে কফিন তুলে বিএনপি নেতাকর্মীরা রওনা হন গুলশানের পথে।

গত শনিবার দুপুরে হৃদরোগে মারা যান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, যিনি মুদ্রাপাচারের একটি মামলায় সাজা নিয়ে মালয়েশিয়ায় ছিলেন।

বিমানবন্দরে কোকোর মরদেহ বুঝে নিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, মীর নাসির উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন নেতা।

সাদা পোশাকের পুলিশ, এপিবিএন, ডিবি ও নিয়মিত পুলিশ এ সময় তাদের চারপাশে অবস্থান নিয়ে থাকে। সাংবাদিকদেরও বিএনপি নেতাদের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি।

হ্যাঙ্গার গেইটের মূল প্রবেশ পথে একটি চেকপোস্টও বসানো হয়। সকাল থেকেই বিমানবন্দরে ঢুকতে বাড়ানো হয় কড়াকড়ি। বিমানবন্দরের কর্মীরাও তল্লাশি থেকে বাদ পড়েননি।

গুলশানের কার্যালয়ে স্বজনদের শেষ দেখা ও শ্রদ্ধা জানানোর পর বিকাল ৪টায় জানাজার জন্য কোকোর মরদেহ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে।

কোকোকে বনানীতে সামরিক কবরস্থানে দাফনের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে অনুমতিও চাওয়া হলেও সেখানে অনুমতি মেলেনি বলে জানা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাকে বনানী কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি সন্মান জানাতে সোমবার থেকে তিন দিনের শোক পালন করছে বিএনপি। বিএনপির কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার পাশাপাশি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ পরছেন।

এই তিনদিন সারা দেশের মসজিদে মসজিদে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল চলছে। এছাড়া মঙ্গলবার সারা দেশে কোকোর গায়েবানা জানাজা পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।