বিমানবন্দরে ঢুকতেও রয়েছে কড়াকড়ি, তল্লাশির পর সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরের কর্মীরাও তল্লাশি থেকে বাদ পড়ছেন না।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী দেখা যায়। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ ও র্যাবের কোনো কর্মকর্তার আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ পৌঁছানোর আগে-পরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে কোকোর কফিন নিয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট কুয়ালালামপুর ছেড়েছে বলে মালয়েশিয়া বিএনপির নেতা মাহবুব আলম শাহ জানিয়েছেন।
ওই ফ্লাইটে কোকোর স্ত্রী, দুই মেয়ে, মামা শামীম এস্কান্দার এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু রয়েছেন।
বিমানটি দুপুর নাগাদ ঢাকা পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপির পাঁচ নেতা বিমানবন্দরে কোকোর মরদেহ গ্রহণ করবেন।
এরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আবদুল্লাহ আল নোমান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।
এরপর কোকোর কফিন আনা হবে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে, যেখানে গত ৩ জানুয়ারি থেকে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া।
সেখানে স্বজনদের শেষ দেখা ও শ্রদ্ধা জানানোর পর বিকাল ৪টায় জানাজার জন্য কোকোর মরদেহ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে।
জানাজার পর তার দাফনের কথা রয়েছে। বনানী সেনা কবরস্থানে তাকে দাফনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, যিনি মুদ্রাপাচারের একটি মামলায় সাজা নিয়ে মালয়েশিয়ায় ছিলেন।