সোমবার জাতীয় সংসদে ‘ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং বিল-২০১৫’ উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
পরে বিলটি ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কার্যক্রমকে একটি সুনিয়ন্ত্রিত কাঠামোর মধ্যে আনতে একটি কাউন্সিল গঠনের জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।
এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সরকার নিয়োগ করবে। চেয়ারম্যান নিয়োগে সরকারকে সুপারিশ দিতে বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের সভাপতিত্বে তিন সদস্যের একটি বাছাই কমিটির বিধান রাখা হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মনোনীত একজন সদস্য এবং অর্থ বিভাগের সচিব এই কমিটির সদস্য হবেন।
বিলে বলা হয়েছে, কোন নিরীক্ষক বা নিরীক্ষা ফার্ম কাউন্সিলের কাছে তালিকাভুক্তি ছাড়া কোন সংস্থার নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবে না।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি এই আইনে উল্লেখ করা শর্ত ভঙ্গ করে বা অসাধু পন্থায় নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তবে তার ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড হবে।
বিলে একটি আপিল কর্তৃপক্ষ গঠনেরও বিধান রাখা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে, বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টস’ অর্ডার ১৯৭৩, ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১, কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এবং বীমা আইন-২০১০ এর কিছু বিধান সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সঙ্গতি রেখে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং ইন্টারন্যাশনাল অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস এবং নিশ্চয়তা ও নৈতিকতার ঘোষণার সাথে সঙ্গতি রেখে অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস প্রণয়ন ও জারি করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বাংলাদেশের জনস্বার্থ সংস্থাসমূহের বিশেষ করে কর্পোরেট সেক্টর, পাবলিক সেক্টর কর্পোরেশন, সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও), ব্যাংক, আর্থিক ও বীমা প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়ন, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা কাজে সংশ্লিষ্টদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্জিত করা একান্ত প্রয়োজন।