সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, “শাস্তির বিধান আগে বিস্তৃতভাবে বলা ছিল না, শাস্তির মাত্রাও কম ছিল। এটি যুযোপযোগী করা হয়েছে।”
আইন ভঙ্গে শাস্তির বিধান ন্যূনতম ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ডেরর বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। জরিমানার বিধান আগেও ছিল, তা এবারও রাখা হচ্ছে।
“কী পরিমাণ জরিমানা হবে, তা ভেটিং এর সময় চূড়ান্ত করা হবে,” বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, মূলত সামরিক শাসনামলের ‘টি অর্ডিনেন্স ১৯৭৭’ এবং এবং এর পর ‘টি অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডিনেন্স ১৯৮৬’ অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার জন্যই এ উদ্যোগ।
বাংলাদেশে চা আবাদের জন্য ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ রয়েছে এবং ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। চা বাগানের বেশিরভাগ বেসরকারি মালিকানার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এগুলোকে প্রমোট ও রেগুলেট করার জন্য সরকার চা বোর্ড করেছে, চা বোর্ড কিভাবে কাজ করবে তা এ আইনে বলা হয়েছে।”
“চা বোর্ডে একজন নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন, চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার এর সদস্য রয়েছেন, সিলেট বিভাগের কমিশনারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”
বোর্ডের কার্যাবলির মধ্যে নতুন ২টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একটি হচ্ছে গবেষণা, অন্যটি হচ্ছে চায়ের গুণগত মান নির্ধারণ এবং মান নিশ্চিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
চা বিক্রির বিষয়টি আরও বিস্তারিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আগে শুধু নিলাম ছিল, নতুন আইনে চা বিক্রয় বিধান রাখা হয়েছে।”
আগের আইনে একটি উপদেষ্টা পরিষদ ছিল, তা বিলুপ্ত করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।