কোতোয়ালি থানার দিদার মার্কেট এলাকা থেকে রোববার সন্ধ্যায় শাহাদাৎ হোসেন (২৫) নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন।
শাহাদাৎ খুলশী থানার দামপাড়া বাঘঘোনা এলাকার বাসিন্দা জালাল আহমেদের ছেলে। তিনি নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআই’র মেজর হিসেবেও পরিচয় দিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বনজ মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, শাহাদাৎ হিযবুত তাহরীর বা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের সাথে জড়িত। তার কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
শাহাদাতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে উসকানির অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে এবং ভুয়া মেজর পরিচয় দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে আলাদা মামলা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় দিদার মার্কেট এলাকায় দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের ছবি তুলছিলেন শাহাদাৎ।
“এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা ছবি তোলার কারণ জানতে চাইলে সে নিজেকে প্রথমে এনএসআই এবং পরে ডিজিএফআইর মেজর পরিচয় দেয়।”
বিভ্রান্তিকর কথা বলায় শাহাদাৎকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মোবাইল ফোনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যঙ্গাত্মক ছবি পাওয়া যায় বলে পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার জানান।
তিনি বলেন, “শাহাদৎ কল্পলোক- নামে সে তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করত। তার আরও তিনটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট আছে, যার মধ্যে দুটি সে মেয়েদের নামে পরিচালনা করত।”
শাহাদাতের ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি ও ব্যঙ্গাত্মক ছবি ও রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক মন্তব্য পেয়েছে পুলিশ।
এছাড়া পুলিশের ওপর হামলার উসকানি দিয়েও ফেইসবুক ওয়ালে শাহাদাৎ পোস্ট করেছেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আনোয়ার।
শাহাদাতের কাছ থেকে চারটি মোবাইল সেট ও আটটি সিম কার্ডও জব্দ করেছে পুলিশ।