ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই পুরস্কারের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, রাজধানীতে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তারে সহায়তা করলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। পেট্রোল বোমা বা হাতবোমা নিক্ষেপের সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তারে সহায়তা করেলে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। আর বোমা তৈরি বা মজুদের তথ্য দিলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানান ঢাকার পুলিশ কমিশনার।
তিনি বলেন, ঢাকার সব জায়গায় পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেট বিলি করে পুরস্কারের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই লিফলেটে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ প্রয়োজনীয় টেলিফোন নম্বর থাকবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “অপরাধী যেই হোক, তার সামাজিক পরিচিতি যাই হোক না কেন, নাশকতার হুমুকদাতা, আশ্রয় প্রদানকারী ও অর্থদাতা- সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।”
অবরোধের নামে সারা দেশকে অবরুদ্ধ করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে মন্তব্য করে পুলিশ কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ এই নাশকতা ও ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপির লাগাতার অবরোধ ও এরই মধ্যে দফায় দফায় হরতালে সারা দেশে নাশকতা ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২১ জানুয়ারি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সরকারের তরফ থেকে জানান, হরতাল-অবরোধের মধ্যে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
এরপর ২৪ জানুয়ারি র্যাবের পক্ষ থেকেও নাশকতাকারীদের তথ্যের জন্য ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আট ধরনের পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।