রোববার বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
পরে বিলটি ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষ করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়, ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় কক্সবাজারের রামুতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিবকে ইনস্টিটিউটের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি রাখার বিধান রাখা হয়েছে।
ইনস্টিটিউট ভৌত মহাসমুদ্রবিদ্যা, ভূতাত্ত্বিক মহাসমুদ্র বিদ্যা, রাসায়নিক মহাসমুদ্রবিদ্যা, জৈব মহাসমুদ্র বিদ্যা, জলবায়ু পরিবর্তন ও মহাসমুদ্র এবং সমুদ্র বিষয়ক অন্য যে কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে বলে বিলে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি যে কোন প্রকল্প গ্রহণের আগে ওই প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদন এবং উপকূল পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ইনস্টিটিউট করবে।
এছাড়া একটি আধুনিক ‘ওশানোগ্রাফিক ডাটা সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গবেষণালব্ধ তথ্য ও ফলাফল সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং তৈল দূষণ ঝুঁকি নিরূপণের কাজও ইনস্টিটিউট করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে ইয়াফেস ওসমান বলেন, “সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার স্বার্থে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এর ব্যবস্থাপনা কাঠামো নির্ধারণ এবং সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রয়োজন।”
“আইনটি প্রণীত হলে সমুদ্রবিজ্ঞান সংক্রান্ত সকল গবেষণা পরিচালনাসহ সামুদ্রিক সম্পদ চিহ্নিতকরণ ও আহরণ এবং এসকল কার্যাদি পরিচালনার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।”