মদসহ ছাত্রলীগকর্মী গ্রেপ্তার, ছিনিয়ে নেওয়া হল দুই নেতাকে

মদ বিক্রির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল থেকে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ তিন ছাত্রকে আটকের পর থানায় নেওয়ার পথে দুইজনকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটির কর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2015, 04:42 AM
Updated : 25 Jan 2015, 08:49 AM

শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, তিনজনকে আটকের সময় ওই হলের দুটি কক্ষ থেকে ১৩৫ ক্যান বিয়ার এবং এক বোতল মদ পাওয়া যায়।

এই তিনজন হলেন- পরিসংখান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাশেদ মাহমুদ, ফলিত রসায়নের সাইফুল ইসলাম টুটুল এবং পদার্থ বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের সৈকত বাশার।

এদের মধ্যে রাশেদ হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাইফুল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সৈকত ছাত্রলীগ কর্মী।

পুলিশ তিনজনের মধ্যে সৈকতকে থানায় নিতে পারলেও বাকি দুজনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

ওসি সিরাজুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের দেওয়া গোপন খবরের ভিত্তিতে রাতে ফজলুল হক হলের ২০৯ ও ৩১৬ নম্বর কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়।

“বিয়ার ও মদসহ তিনজনকে আটক করার পর তাদের থানার আনার সময় হলের মধ্যেই দুই জনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় অন্যরা।”

ওসি বলেন, সৈকতের বিরুদ্ধে মদ বিক্রির অভিযোগের একটি মামলা হয়েছে। বাকি দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা করা হবে।

এদিকে ফজলুল হক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে ‘ফাঁসানোর জন্য’ ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করা হয়েছে।

“তারা যদি আগে থেকে মাদক বিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকত, তাহলে হল প্রশাসন বা প্রভোস্ট এতদিন উদাসীন ছিল কেন? তারা ষড়যন্ত্রের শিকার।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশেষ সূত্রে জানতে পারি, হলের ওই দুই কক্ষে মদ রাখা হয়েছে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পুলিশের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়।”

তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে গত ১৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগের মহসিন হল শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক মো. রাসেল উদ্দিনকে ৮৪৫টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।