শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ করে কলেজটির বাণী অর্চণা উদ্যাপন পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের শিক্ষার্থী পিংকী সাহা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইসলামিয়া কলেজে প্রতি বছরই বাণী অর্চণার আয়োজন করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এ বছর অধ্যক্ষ রেজাউল কবিরের একক সিদ্ধান্তে বাণী অর্চনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
“গত ১১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বাণী অর্চনা উদযাপনের জন্য অধ্যক্ষ বরাবরে আবেদন করা হয়। অধ্যক্ষের পক্ষে আবেদন গ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ।”
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের জুলাই মাসে কলেজ অধ্যক্ষ রেজাউল কবিরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে আন্দোলন শুরু করে ইসলামিয়া কলেজের ‘ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রাম পরিষদ’।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আন্দোলন শুরুর পর থেকে অধ্যক্ষ রেজাউল কবির গত ১৬ মাস যাবৎ কলেজে আসেন না।
পিংকী সাহা বলেন, আবেদন জমা দেয়ার ১০ দিন পর ২১ জানুয়ারি অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানায়।
“পূজা বন্ধ করে দেওয়ার এমন সিদ্ধান্ত আমাদের ব্যথিত ও হতবাক করেছে।”
লিখিত বক্তব্যে পিংকী বলেন, প্রতি বছর ভর্তির সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ছাত্র সংসদ খাতে দুইশ টাকা ও বিবিধ খাতে ১৭৫ টাকা নেওয়া হয়। এই খাত থেকেই বাণী অর্চনা ও ঈদে মিলাদুন্নবীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়।
“কিন্তু আট হাজার শিক্ষার্থীর এ কলেজে বাণী অর্চনা বন্ধ কয়ে দেওয়ার এমন স্বৈরাচারী ও মৌলবাদী সিদ্ধান্ত অধ্যক্ষ রেজাউল কবির কিভাবে গ্রহণ করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাণী অর্চনা উদ্যাপন পরিষদের সদস্য শিমুল চৌধুরী, আশীষ দাশ, মিটুন দাশ ও অশোক দাশ।