‘ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে খালেদাকে’

ছেলের মৃত্যু শোকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2015, 02:41 PM
Updated : 24 Jan 2015, 03:41 PM

শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শিমুল বিশ্বাস বলেন, “ছেলের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান খালেদা জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এপিএস আমাদের ফোন করেছিলেন। আমরা জানিয়েছি খালেদা জিয়া সুস্থ বোধ করলে আমরা তাকে জানাবো। ম্যাডামের সঙ্গে আলোচনা করে সময় সুযোগ বুঝে কখন দেখা করা সম্ভব তা জানিয়ে দেব।”

প্রধানমন্ত্রী শোকগ্রস্ত খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় ধন্যবাদ জানান তিনি।

শিমুল বিশ্বাস যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ঠিক একই সময়ে গণভবন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় অভিমুখে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগেই শেখ হাসিনার আসাকে কেন্দ্র করে আগেই সেখানে এসএসএফ, পিজিআরসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।

হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরাফাত রহমানের মৃত্যু হয়।

স্ত্রী সৈয়দ শামিলা রহমান সিঁথি, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে কুয়ালালামপুরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন আরাফাত।

২০০৯ সালের মে মাসে শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর পর ধানমণ্ডির সুধা সদনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জানান এবং দুই নেত্রীর মধ্যে কিছুক্ষণ কথাও হয়।

এরপর বেশ কয়েকবার একই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও তারা কথা বলেননি।

২০১৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর শোক জানাতে বঙ্গভবনে দুই নেত্রী গিয়েছিলেন। অবশ্য সে সময় কথা হয়নি তাদের মধ্যে।

এছাড়া বিগত কয়েকবছরে একাধিকবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে গেলেও কথা বলেননি তারা।

জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন আরাফাত।

সেখান থেকে তিনি মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। অন্যদিকে মুদ্রা পাচার মামলায় বাংলাদেশের আদালতে ২০১১ সালে তার ৬ বছর কারাদণ্ড হয়; তবে বিএনপির দাবি, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।