শপথ নিলেন এসকে সিনহা

দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। তিনি মো. মোজাম্মেল হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2015, 05:28 AM
Updated : 17 Jan 2015, 07:43 AM

শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়ান।  

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন ছাড়াও কয়েকজন সাবেক প্রধান বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই জ্যেষ্ঠ বিচারককে গত সোমবার প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

শপথ অনুষ্ঠান শুরুর কয়েক মিনিট আগে প্রধান বিচারপতির পোশাক পরে দরবার হলে প্রবেশ করেন এসকে সিনহা। পরপরই দরবার হলে ঢোকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীও অনুষ্ঠানে ছিলেন।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্যে ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধান, আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

শপথের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নতুন প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। 

বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে। তার জন্ম ১৯৫১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।

হাই কোর্টে তিনি বিচারক হিসাবে নিয়োগ পান ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর। আপিল বিভাগে আসেন ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আপিল বিভাগের যে বেঞ্চ বাতিল করেছিল, এস কে সিনহা ছিলেন তার অন্যতম সদস্য। এছাড়া ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া বেঞ্চেও সদস্য হিসাবে ছিলেন তিনি।