রাজশাহী মেডিকেলে নবজাতক চুরি

জন্মের আধাঘণ্টার মধ্যেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরি হয়েছে।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2014, 11:19 AM
Updated : 29 Dec 2014, 11:19 AM

সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মেয়ে শিশুটিকে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান এক নারী।

হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রতন জানান, গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভা এলাকার শনশনিপাড়ার তরিকুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা বেগম রোববার দুপুরে হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সোমবার বেলা ২টার দিকে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন তিনি।

অস্ত্রোপচারের পর নবজাতককে সেবিকার মাধ্যমে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে রুবিনার নানা মোজাফ্ফর ও নানি রহিমা ছিলেন।ওয়ার্ডে আসার পরে সেবিকার হাত থেকে তারা শিশুটিকে বুঝে নেন।

“এরপর ওই ওয়ার্ডে এক নারী নিজেকে আয়া পরিচয় দিয়ে নবজাতকটিকে আদর ও সেবা যতœ করতে থাকেন। আড়াইটার পর শিশুটিকে নিয়ে গায়েব হয়ে যান ওই নারী।”

রুবিনার নানা মোজাফ্ফর বলেন, “ওই মহিলা নিজেকে ওয়ার্ডের আয়া পরিচয় দিয়ে বাচ্চার সেবা করছিল। আমি আর আমার স্ত্রী বাচ্চার বিছানাপত্র গোছগাছ করছিলাম। হঠাৎ দেখি ওই মহিলা নেই। আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বাচ্চা না পেয়ে ওয়ার্ডের সেবিকাদের জানাই। পরে চিকিৎসক ও মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেওয়া হয়।”

শিশুর বাবা তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমি স্ত্রীর কাছে ছিলাম। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কান্নাকাটির শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে দেখি আমার বাচ্চা চুরি হয়ে গেছে।”

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন, হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা নবজাতক চুরির খবর পেয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে যান।

নাসির উদ্দিন বলেন, “পুলিশ ও হাসপতালের কর্মচারীরা সবগুলো গেইটসহ পুরো হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়েছে। তার আগেই ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেছে বলে আমাদের ধারণা।”

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখায়ের আলম জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ওই নারীকে শনাক্ত করে শিশুটিকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।