ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এই ঘটনা মর্মান্তিক, দুঃখজনক। আমরা ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন।”
সকালে নোয়াখালীর মাইজদী পৌরবাজারে পিকেটারদের ঢিলের আঘাতে নিহত হন ঢাকার আগারগাঁওয়ের তাওহীদ ল্যাবরেটরি স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শামসুন্নাহার ঝর্ণা (৩৭)।
হামলায় ঝর্ণার স্বামী আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা শাহজাহান সিরাজও আহত হন।
শাহজাহান সিরাজ জানান, তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতির পোড়াগাছা এলাকায়। নোয়াখালীতে বদলি হওয়ায় স্ত্রী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কভার্ড ভ্যানে মালপত্র তুলে তারা বাড়ি যাচ্ছিলেন। সকালে হরতালের মধ্যে মাইজদী পৌরবাজারের মোড়ে তাদের গাড়ি আক্রান্ত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “একজন শিক্ষিকা জরুরি কাজে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তাকে হত্যা করা হলো। বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে এমন দিনে কেউ বের হয় না। তাদের (হরতাল সমর্থক) কাছে কে নিরাপদ?
হরতালে কোনো ‘ফল’ পাওয়া যায় না মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, “ফলহীন, স্বার্থহীন হরতাল জাতির বিরুদ্ধে যাচ্ছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই হরতাল জাতির ভবিষ্যৎ বংশধরদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।
“জাতির স্বার্থ বিপন্ন করতেই হরতাল দেওয়া হচ্ছে, আমরা এতে খুবই ক্ষুব্ধ। হরতালের নামে শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে, এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।”
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে হরতালের মতো কর্মসূচি বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।