চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের পূর্বাশা কাউন্টারের সামনে থেকে রোববার দুপুরে হেরোইনসহ মিশন হক (২০) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
বগুড়ার শাহাজাহানপুর উপজেলার খননা ইউনিয়নের তিথখুড় গ্রামের মনজুরুল হকের ছেলে মিশনের খালাত ভাই চুয়াডাঙ্গা পুলিশে কর্মরত এসআই তোবারক আলী।
দুপুরে আটকের পর মিশনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গড়িমসি করছিল পুলিশ এবং এক্ষেত্রে এসআই তোবারক প্রভাব খাটাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
এরপর এসআই তোবারককে রোববার রাতে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে আনার নির্দেশ জেলা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান দেন বলে সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।
এসআই তোবারক চুয়াডাঙ্গার মুন্সীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
মিশনের বিরুদ্ধে রাতেই মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয় বলে জানান দামুড়হুদা থানার এএসআই নিয়ামুল হক। সোমবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
তোবারকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, “মিশন হক এসআই তোবারক আলীর ভাই বলে শুনেছি। তবে খালাত, না কি চাচাত ভাই, তা জানতে পারিনি।
“তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।”
এএসআই নিয়ামুল জানান, পূর্বাশা কাউন্টারের সামনে মিশনকে একটি গোলাপি রংয়ের ব্যাগসহ আটক করা হয়। ব্যাগ তল্লাশি করে ১ কেজি ৭২০ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়।