শরীয়তপুরের মাটিতে চির নিদ্রায় জিহাদ

রাজধানীর শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির পরিত্যক্ত পাম্পের পাইপ থেকে উদ্ধার শিশু জিহাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2014, 02:08 PM
Updated : 28 Dec 2014, 03:54 PM

রোববার বিকালে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের পূর্বেরচর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

মতিঝিল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তাকর্মী নাসির উদ্দিনের চার বছর বয়সী ছেলে জিহাদ শুক্রবার বিকালে পরিত্যক্ত পানির পাম্পের পাইপে পড়ে যায়। শনিবার বিকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে জিহাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হলে মাইক্রোবাস যোগে তারা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।

এর আগে লাশ জিহাদের নানা বাড়ি ডামুড্যা উপজেলার সিধলকুড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর লাশ তাদের বাড়ি নিয়ে আসে।

বিকেল সোয়া ৫টায় নাগেরপাড়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।

এ সময় আত্মীয় স্বজন ছাড়াও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক রামচন্দ্র দাস, সহকারী পুলিশ সুপার সুমন দেব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার বেগম, ওসি মোফাজ্জেল হোসেনসহ সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

সকালে নাগেরপাড়া বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাইকিং করে জিহাদের লাশ আসার খবর জানানোর পর লোকজন জড়ো হতে থাকে। লাশ পৌঁছানোর পর উত্তেজিত জনতা দোষীদের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করে। জনতার বিক্ষোভের কারণে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার বেগম বলেন, লাশ দাফনের জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জিহাদের পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

জিহাদের দাদা আব্দুল আজিজ ফকির বলেন, “সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আমার নাতি জিহাদকে জীবিত উদ্ধার করা যেত। জিহাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ জিহাদের বাবা ও তার পরিবারকে হয়রানি করেছে। আমি এর বিচার চাই।”

জিহাদের নানা হোসন আলী মোল্যা লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নাতির শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন আর বলছেন আমার ভাইকে এনে দাও।