রোববার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলিতে পূর্ব রেলের ডিজেল কারখানা পরিদর্শনের সময় শত শত কর্মচারীর উপস্থিতিতে বিরক্ত হন মন্ত্রী।
এ নিয়ে রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে অসন্তোষের কথা জানান মন্ত্রী। তখন ফজলে করিম চৌধুরীও অব্যবস্থাপনার বিষয়ে একমত হন।
এরপর ক্যারেজ সপ পরিদর্শনে একসঙ্গে ছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী।
এর আগে দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে ডিজেল কারখানা পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী ও সংসদীয় কমিটির পাঁচ সদস্য।
ডিজেল কারখানায় প্রবেশের পর রেলওয়ের কিছু যন্ত্রপাতি দেখেন পরিদর্শক দলের সদস্যরা। এসময় তাদের স্বাগত জানাতে আসা রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বহিরাগত কিছু লোকজন ওই দলের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছিল।
এক পর্যায়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরী থেমে গিয়ে রেলওয়ের কয়েজন কর্মকর্তা ও সংসদীয় কমিটির অন্য সদস্যদের সাথে আলাপ করতে শুরু করেন।
আলাপে ফজলে করিম পরিদর্শন সূচি জানতে চান এবং পরিদর্শন দলের বাইরে অন্য লোকজন থাকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এসময় অন্য কয়েকটি যন্ত্রপাতি দেখে গাড়ি বহরের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। এসময় তার সাথে ছিলেন পূর্ব রেলের উর্ধতন কর্মকর্তারা ও সংসদীয় কমিটির একজন সদস্য। এক পর্যায়ে মন্ত্রী গাড়িতে উঠে চলে যেতে উদ্যত হন।
কিন্তু সংসদীয় কমিটির কয়েকজন সদস্য না থাকায় তিনি গাড়িতে না উঠে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রায় ১০ মিনিট পর ফজলে করিমসহ সংসদীয় কমিটির অন্য সদস্যরা সেখানে আসেন।
এসময় মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, পরিদর্শনের এজেন্ডা দেওয়া হয়েছে কিন্তু কিছুই পরিকল্পিত নয়।
উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা একসাথে থাকলে অসুবিধা কোথায়। আমি এমপি সাহেবদের সঙ্গে একসাথে থাকব। উনারা থাকবে দূরে, আমি মাঝে, আপনি (ফজলে করিম) সামনে এভাবে হবে না।
“আমি উনাদের ছাড়া যাব না। উনারা কি দর্শকের মত থাকবে? গ্যাপ হওয়ার দরকার নেই।”
এরপর সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে করিম চৌধুরীর সঙ্গে একমত হন এবং একই গাড়িতে করে অন্য সদস্যদের নিয়ে ক্যারেজ সপের দিকে রওনা হন।
ক্যারেজ সপে কোচ মেরামত, গদি তৈরি ও মেরামত কারখানা ও চাকার কারখানা পরিদর্শন করে পরিদর্শক দল। এসময় পূর্ব রেলের চিফ ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদ বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করেন।
পরিদর্শন শেষে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, পরিদর্শনে কমিটির সদসদের অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। দুর্বলতা-গাফিলতি আছে কি না তা দেখতে চেয়েছি। কর্মকা- ভালো তবে উপস্থিতি কম। শতভাগ উপস্থিতি কেন নিশ্চিত করা হয়নি তা জানতে কর্মকর্তাদের তলব করা হবে।
প্রশ্নের জবাবে ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, উপস্থিতির বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা করা হবে। তারপর আপনাদের জানাব। রেলের জমিতে যেসব অবৈধ দখল আছে তা উচ্ছেদ করা হবে। এ বিষয়ে কোনো সমঝোতা নেই।
রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক উপলক্ষে পরিদর্শক দলটি চট্টগ্রামে এসেছে। এই প্রথমবারের মত পূর্ব রেলের সদর দপ্তর সিআরবিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বিকাল পাঁচটায় এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ফজলে করিম চৌধুরী।