নাসিরের আটক সৎ উদ্দেশ্যেই: আইজিপি

রাজধানীর শাহজাহনপুরে পাইপের ভেতরে পড়ে প্রাণ হারানো শিশু জিহাদের বাবা নাসির ফকিরকে থানায় নেওয়ার পর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2014, 09:48 AM
Updated : 28 Dec 2014, 10:10 AM

রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সভা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্যাতন নয়, বরং তাকে আন্তরিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও এ সময় তার পাশে ছিলেন।  

গত শুক্রবার শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের কয়েকশ ফুট গভীর পাইপে পড়ে যায় চার বছর বয়সী জিহাদ। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর পাইপে ক্যামেরা নামিয়ে অনুসন্ধান করে ফায়ার সার্ভিস জিহাদের অস্তিত্ব না পাওয়ার কথা জানায়।

এ সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ওই পাইপে শিশুটির থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এরপর রাত ৩টার দিকে পুলিশ নাসিরকে শাহজাহাপুর থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় দুই প্রত্যক্ষদর্শীকেও থানায় নেওয়া হয়।  

শনিবার বিকালে ওই পাইপ থেকেই জিহাদের লাশ উদ্ধার হওয়ার পর থানা থেকে ছাড়া পান মতিঝিল মডেল স্কুলের নৈশ প্রহরী নাসির।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কারো সঙ্গে বিরোধের জেরে জিহাদকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে সন্দেহে পুলিশ তার কাছ থেকে ‘সত্য’ ঘটনা জানতে চায়। তা না জানালে তাকে র্যা বের হাতে তুলে দেওয়ারও ভয় দেখানো হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জঙ্গি প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ শীর্ষক এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে জিহাদের বাবার আটকের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এ সময় মন্ত্রী তার পাশে থাকা হাসান মাহমুদ খন্দকারকে উত্তর দিতে বলেন।

আইজিপি বলেন, “রহস্য উন্মোচনের জন্য সৎ উদ্দেশ্যে নাসিরকে নেওয়া হয়েছিল। ওই রকম পরিস্থিতিতে যাদের মধ্যে ন্যূনতম মনুষ্যত্ব বোধ থাকে, তার পক্ষে হার্ট করে কিছু করার কথা নয়।”

তারপরও নির্যাতনের কোনো ঘটনা যদি থাকে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, “তাকে (নাসির) খারাপ ইনটেনশনে রাখা হয়নি। নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।”