আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ওই ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, “হানিফ সাহেব বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে বিএনপিকে দেশের কোথাও সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
“আমরা দৃঢ়কন্ঠে বলতে চাই, বিএনপির সমাবেশে বাধা দিলে আওয়ামী লীগও দেশের কোথাও নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারবে না। মানুষের সম্মিলিত শক্তিতে তা প্রতিহত করা হবে।”
শনিবার গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সমাবেশ করার কথা থাকলেও পাল্টা পাল্টি অবস্থানের কারণে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সমাবেশ। এর প্রতিবাদে জেলায় হরতাল পালন করে তারা।
পরে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগনেতা হানিফ জানান, কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির জন্য ক্ষমা না চাইলে গাজীপুরের মতো আগামীতে দেশের কোথাও খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে কিনা তা ভাবার সময় এসেছে।
ব্রিফিংয়ে যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে বাসা থেকে গ্রেপ্তারের সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “সরকার নাকি কোনো কিছুতেই ভয় করছে না। খুব ‘স্বস্তিতে’ আছে বলে দম্ভোক্তি করছে। তাহলে দেশব্যাপী গ্রেপ্তার অভিযান চলছে কেন?”
রিজভী খিলগাঁও বিএনপির সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন, বরিশালের স্বেচ্ছাসেবক দলের হাবিবুর রহমান পিন্টু, পটুয়াখালীর শাহাবুদ্দিন, আহসান উল্লাহ পিন্টু, শাহজাহান হাওলাদারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
শনিবার রাতে লালমাটিয়ায় নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, বেলাল আহমেদ, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।