জিহাদের মৃত্যু পানিতে ডুবে, মাথায়ও আঘাত ছিল: চিকিৎসক

পরিত্যক্ত নলকূপের কয়েকশ ফুট গভীর পাইপে পড়ে যাওয়ার সময় মাথায় আঘাত পেলেও পানির কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশু জিহাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2014, 05:31 AM
Updated : 28 Dec 2014, 07:45 AM

রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার বছর বয়সী শিশুটির লাশের ময়নাতদন্তের পর হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হাবিবুজ্জামান চৌধুরী এ কথা জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ছেলেটির মাথার ভেতরে ও বাইরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

“তবে পাইপে পানি ছিল। আমাদের ধারণা হয়েছে, পাইপে পড়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে পানিতে ডুবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।”

হাবিবুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম শফিউজ্জামান ও প্রভাষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস ময়নাতদন্তে অংশ নেন।

শাহজাহানপুর থানার এস আই আবু জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জিহাদের মা খাদিজা আক্তার ও বাবা নাসির ফকির ময়নাতদন্তের সময় হাসপাতালেই অপেক্ষা করেন।

শিশুটির মামা মনির হোসেন জানান, জিহাদকে তারা শরীয়তপুরের ডামুড্যায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

শুক্রবার বিকালে শাহজাহানপুর রেল কলোনির মাঠে পরিত্যক্ত একটি গভীর নলকূপের ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের খোলা মুখ দিয়ে কয়েকশ ফুট গভীর পাইপে পড়ে যায় জিহাদ।

২৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা শনিবার বিকাল ৩টায় জানান, তারা পাইপে জিহাদের কোনো খোঁজ পাননি। কিন্তু এর দশ মিনিটের মাথায় একদল উদ্যমী স্বেচ্ছাসেবী হাতে তৈরি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ওই পাইপ থেকেই জিহাদকে তুলে আনেন।

তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক জানান, অনেক আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার জিহাদের লাশের সুরৎহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন শাহজাহানপুর থানার উপ পরিদর্শক আবু জাফর।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছিলেন, “ওর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের চামড়া ছিলে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে পাইপের ভেতর অক্সিজেন না থাকায় তার মৃত্যু হয়েছে।”

কখন সে মারা গিয়ে থাকতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন, “এগুলো চিকিৎসক ভালো বলতে পারবেন।”