শনিবার বিকেলে দলটি তাদের কাজ শেষ করে বিশেষজ্ঞ দলটি মংলা থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
২৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দলটি ছয়টি দলে ভাগ হয়ে পাঁচদিন ধরে সুন্দরবনের তেল বিস্তৃত বিভিন্ন নদীখালে ঘুরে নমুনা ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
এই বিশেষজ্ঞ দলটির আগামী ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।
গত ২২ ডিসেম্বর সরকারের আমন্ত্রণে ২৫ সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ দলটি সুন্দরবনে আসে। ২৩ ডিসেম্বর থেকে তারা কাজ শুরু করেন। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা করতে এই দলে বাংলাদেশের কয়েকজন পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. জাহিদুল কবীর বলেন, “গত ২২ ডিসেম্বর সকাল থেকে ওই বিশেষজ্ঞ দলটি ছয় ভাগে বিভক্ত হয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
“গত পাঁচ দিনে তারা সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শেলা ও পশুর নদীর বিভিন্ন শাখা খালে স্পিড বোটে করে গিয়ে সেখানে নেমে পানি, মাটি, শ্বাসমূল, বনজ গাছসহ বিভিন্ন ধরনের নমুনা ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।”
তিনি জানান, বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা সংগৃহীত নমুনাগুলো গবেষণাগারে পরীক্ষা করবেন। দলটি সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালি এবং মৌয়ালদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।